শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০২ পূর্বাহ্ন
বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে দুর্ঘটনায় কবলিত বরগুনা থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহি এমভি শাহরুখ-২ লঞ্চের যাত্রীরা বিকল্প নৌযানে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া ১২ টার দিকে তাদের এমভি পূবালী-১ নামের অপর একটি লঞ্চে তুলে দেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা এবং বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার।
তিনি জানান, এমভি শাহরুখ-২ লঞ্চটি প্রায় সাড়ে ৩ শত যাত্রী নিয়ে বরগুনা থেকে ঢাকা যাচ্ছিলো। বরিশাল নদী বন্দর সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদী দিয়ে যাওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা এমভি হাজী মোঃ দুদু মিয়া(রাঃ)-১ নামের একটি কার্গোর সাথে লঞ্চটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে লঞ্চের সামনের অংশের তলা ফেটে ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং সিমেন্ট তৈরির উপাদান (ক্লিংকার) বাহী কার্গোটি নদীতে নিমজ্জিত হয়ে যায়।
ঝুকি এড়াতে তাৎক্ষনিক লঞ্চটি চরকাউয়া খেয়াঘাট সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদী তীরে নোঙ্গর করে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়া হয়।
এদিকে ঘটনার পরপরই বিআইডব্লিউটিএ, নৌ-পুলিশ, কোষ্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, মেট্রোপলিটন পুলিশ, সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন এবং উদ্ধারসহ সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তবে কোন হতাহত কিংবা নিঁখোজের খবর তাৎক্ষনিকভাবে পাওয়া যায়নি।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনার পর এমভি শাহরুখ-২ লঞ্চের যাত্রীদের নিরাপত্তাসহ সার্বিক দিক বিবেচনা করে বরগুনা থেকে ঢাকাগামী এমভি পূবালী-১ নামক অপর একটি লঞ্চে তুলে নেয়া হয়।
দুর্ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, কার্গোর মাষ্টারকে পাওয়া গেলেও লঞ্চের মাষ্টারকে এখনো পাওয়া যায়নি। উভয় মাষ্টারকে কাছ তথ্য পেলেই কি কারনে কেন এ দুর্ঘটনা ঘটেছে তা জানা যাবে। তবে এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
অপরদিকে বরিশাল সদর নৌ থানার এসআই রেজাউল ইসলাম জানান, লঞ্চের যাত্রীদের মাঝে যেমন কারো হতাহত বা নিঁখোজ হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তেমনি কার্গোটির ১১ জন আরোহীর কেউ নিঁখোজ হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে কার্গোর ৪ জন স্টাফকে উদ্ধারের পর পুলিশী হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এদিকে ঘটনার খবর জানতে পেরে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ঘটনাস্থলে যান এবং দুর্ঘটনা কবলিত লঞ্চের যাত্রীদের সাথে কথা বলেন। এসময় তিনি দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চের যাত্রীদের নিরাপত্তাসহ সার্বিক সহায়তা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, রাতের বেলা যাত্রীবাহি নৌ রুটে বাল্কহেড কার্গো চলাচলের নিয়ম নেই। তারপরও কিভাবে তারা চলছে এ বিষয়টি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সুপারিশ করা হবে।
আরও পড়ুন: **বরিশালে লঞ্চ-কার্গো মুখোমুখি সংঘর্ষ, কার্গোডুবি।